উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যাক এটা চায় না শরণার্থী শিবিরে সক্রিয় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। তারা চায়, বাংলাদেশেই থেকে যাক রোহিঙ্গারা। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোও।
বাংলাদেশ পুলিশের এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের দৈনিক ইরাবতী। একই অভিযোগ করেছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের নেতারাও। তবে এই অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা ও এনজিওগুলো।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে বর্তমানে ৮৬টি স্থানীয় ও ৩৬টি আন্তর্জাতিক এনজিও সক্রিয় রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে জাতিসংঘের ১১টি সংস্থা। গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অন্তত অর্ধশতাধিক এনজিওর নাম এসেছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ বলেও জানানো হয়েছে।
ইরাবতী জানায়, চলতি বছরের জুন মাসের শেষ নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এনজিও’র নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে রিপোর্টটি প্রস্তুত করে কক্সবাজারের জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা। রিপোর্টে পুলিশ বলেছে, মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের অনুৎসাহিত করছে জাতিসংঘের সংস্থাসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো।
তবে সংস্থাগুলোর এ ধরনের অপতৎপরতার অভিযোগের ব্যাপারে শক্ত কোনো প্রমাণ নেই বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টটি কক্সবাজারের পুলিশ সুপার একেএম ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। সে কারণেই রিপোর্টের ব্যাপারে ওই পুলিশ কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি ইরাবতীর।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজারের ডিসি কামাল হোসেন রিপোর্টের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন। বলেন, এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ড তদারক করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তবে ইরাবতীর খবরের প্রতিধ্বনী করেছেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের আহ্বায়ক কক্সবাজারের হামিদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলছেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নতি ও প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দেরি দেখে আমাদের সন্দেহ প্রবল হচ্ছে। আমরা মনে করি, নিজেদের স্বার্থেই সংকট জিইয়ে রাখতে চাচ্ছে সক্রিয় গোষ্ঠীগুলো।’
হামিদুল আরও বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এমনকি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাও চাচ্ছে, রোহিঙ্গারা এখানেই থেকে যাক। রোহিঙ্গারা থাকলে তো তাদেরই লাভ। মাসে মাসে মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছে। এজন্য রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাক এটা সংস্থাগুলো চায় না।
পাঠকের মতামত